দুর্দশার কারণে মাইক্রোসফট কয়েকবছর আগে নকিয়াকে কিনে নেয়। এরপরও আলোর মুখ দেখেনি নকিয়া। সবশেষ স্মার্টফোন বের করেও চীনা টেলিকম জায়ান্ট শাওমি, হুয়াউয়ে, মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট অ্যাপল কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের দাপটে বাজারে টিকে থাকাই দায় হয়েছে নকিয়ার।
এখন ক্ষতির মুখে পড়ে ২০২৩ সালের মধ্যে নিজেদের ১০ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে নকিয়া। ফাইভ জির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাও কষ্টসাধ্য হচ্ছে নকিয়ার জন্য। খরচ কমাতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিল নকিয়া। খরচ কমাতে হবে ৬০ কোটি ডলার। এ অর্থ ব্যয় হবে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক উন্নয়নে।
নকিয়ার এখন সর্বসাকুল্যে সারাবিশ্বে কর্মী আছে ৯০ হাজার। তবে নকিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী ২ বছরই হিসেব করা হবে কতজন কর্মী ছাঁটাই করা প্রয়োজন। এ খবরে কমে যায় নকিয়ার শেয়ারের দর। ২০২০ সাল পর্যন্ত ইউরোপে প্রায় ৪০ হাজার, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০ হাজার ৫০০, চীনে ১৩ হাজার ৭০০, উত্তর আমেরিকায় ১২ হাজার ও লাতিন অঞ্চলে ৩ হাজার ৭০০ জন কর্মী নকিয়ায় কাজ করছেন।
নতুন ছাঁটাই কর্মসূচিতে ফিনল্যান্ডে কোম্পানিটির সদর দপ্তরের আনুমানিক ৩০০ কর্মীকে এবার ছাঁটাই করা হতে পারে। গত বছর ফ্রান্সে ১ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছিল নকিয়া। কয়েক বছর ধরে প্রায় সব দেশে কোম্পানিটি কর্মী ছাঁটাই করছে।
নকিয়া এক সময় বিশ্বের বৃহত্তম হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক ছিল, তবে অ্যাপলের আইফোন এবং স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সির মতো ইন্টারনেট ব্যবহারে উপযোগী টাচ স্ক্রিন ফোনগুলোর জনপ্রিয়তা সম্পর্ক ধারণা ছিল না এই কোম্পানির। তাই ধীরে ধীরে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুখ থুবড়ে পড়ে নকিয়া।