কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই) এর দফতর থেকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে বাইডেনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও অসমর্থিত তথ্য দিয়ে মস্কো মার্কিন সংবাদ সংস্থা, কর্মকর্তা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনসহ বিশিষ্ট মার্কিন ব্যক্তিদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুতিন ‘এ ব্যাপারে অবগত ছিলেন এবং সম্ভবত তার নির্দেশেই’ ট্রাম্পের পক্ষে এবং বাইডেনের বিপক্ষে এ প্রচারণা চালানো হয়েছিল।
এদিকে, বুধবার (১৭ মার্চ) এবিসি নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন জানান, নির্বাচনে পুতিনের হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলেন বাইডেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার দীর্ঘ কথোপকথন হয়েছে এবং আমি তাকে বেশ ভালো করেই চিনি। কথোপকথনের শুরুতেই আমি বলেছি, আপনি আমাকে চেনেন এবং আমি আপনাকে চিনি। যদি সেটা (নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা) প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রস্তুত থাকবেন। ’
ওই সাক্ষাৎকারে বাইডেনকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি পুতিনকে ‘হত্যাকারী’ মনে করেন কি না। জবাবে বাইডেন বলেব, ‘হ্যাঁ, আমি তা মনে করি। ’
পুতিনের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি বাইডেন।
তবে, গত মাসেই রাশিয়ার চারজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, বুধবার (১৭ মার্চ) মস্কো বলেছে, মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থার ওই প্রতিবেদনের কোনো নিশ্চিত ভিত্তি এবং প্রমাণ নেই। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি জানায় মস্কো।