তিনি বলেন, ‘আমি খুব শিগগিরই করোনার টিকা নেবো। এটা নিশ্চিতভাবেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা হবে। টিকা নেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।
এদিকে টাইমস সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক লেখায় জনসন বলেছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং খুবই ভালো কাজ করে। এছাড়া সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে একই কথা বলেছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ও দেশটির ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জনাথন ভ্যান-টামও।
ব্রিটেন এখন পর্যন্ত আড়াই কোটিরও বেশি মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা নিয়েছে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ।
এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। টিকা নেওয়া নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না থেকে নীতিনির্ধারকদের কথা শুনতে এবং একইসঙ্গে যত শিগগির সম্ভব সুযোগ পেলেই টিকা নিয়ে নিতে মানুষের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
এই অবস্থার কারণে ব্রিটেনের মানুষকে আবারও নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক জোর দিয়ে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), এমএইচআরএ এবং ইউরোপীয়ান মেডিকেল এজেন্সি (ইএমএ)-সবাই বিশ্বাস করে যে অ্যাস্টাজেনেকার টিকা নিরাপদ।
তিনি বলেন,‘টিকা নেওয়ার ফলে সৃষ্ট উপসর্গগুলো আমরা সবসময়ই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকি। আমরা সবাই জানি, যুক্তরাজ্যের মানুষের জীবন বাঁচাতে বর্তমানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর তাই টিকা নেওয়ার সুযোগ সামনে এলেই দেরি না করে সেটা নিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনার টিকা নিচ্ছেন এবং তাদের মাঝে টিকা নেওয়ার বিষয়ে অবিশ্বাস্য উৎসাহ কাজ করছে।
অবশ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ইস্যুতে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন ও ইতালি জানিয়েছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর টিকাগ্রহীতাদের শরীরে রক্ত জমাটের ঘটনায় ইইউ’র নীতিনির্ধারকদের তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষা করছে তারা। কিন্তু পোল্যান্ড ও বেলজিয়ামসহ আরও বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র: এএফপি