আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানে যুক্ত কর্মকর্তাদের অর্থ ও অস্ত্রসংক্রান্ত কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। এরপরই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল ইইউ।
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হলে ওই ১১ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার ইউরোপে থাকা সম্পত্তি জব্দ ও ভিসা কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। যদিও সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে এখনই কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ শনিবার দেশটিতে চলমান সহিংসতা রোধে অভ্যুত্থানের নেতাদের অর্থ ও অস্ত্রসংক্রান্ত অনুপ্রবেশ বন্ধের আহ্বান জানান।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। তখন দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উইন্ট মিন্টসহ বহু নেতাকে আটক করা হয়। এরপর থেকে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সহিংসতার জন্য সামরিক সরকারের নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব।