রোববার (২১ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে জনতা ব্যাংক ভবনে মুজিব কর্নারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলি না। কারণ, হাজার বছর বললে একটা নির্দিষ্ট সময়ের হয়ে যায়। তাই সব সময় আমি বলি, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। মুজিব কর্নারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সম্পর্কে জানতে উৎসাহী হবেন।
এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, জনতা ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান, জনতা ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ এবং অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জনতা ব্যাংক জনতা তথা মানুষের ব্যাংক। আশা করছি, ব্যাংকটির বর্তমান পর্ষদ প্রতিষ্ঠানটিতে যে সমস্যাগুলো আছে তা সমাধান করবে। আজ আনন্দের মধ্যে আমি এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলব না।’
তিনি বলেন, ‘মার্চ মাস অর্জনের মাস। এ মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বে সমাদৃত। যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন মানুষ বঙ্গবন্ধুর কথা মনে রাখবে।’
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের কাতারে বাংলাদেশ স্থান পাওয়ার বিষয়টি জাতির পিতার পরিকল্পনায় ছিল। প্রধানমন্ত্রী বর্তমান প্রজন্মের আইকন হিসেবে কাজ করছেন। কাঁধে কাঁধ রেখে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে আজ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ।’
জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এ আয়োজন। ভবিষ্যতে জনতা ব্যাংক ভবনের নিচ তলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনতা ব্যাংক নানা দিকে এগিয়ে থাকলেও কিছু বিষয়ে ঘাটতি রয়ে গেছে। আমরা প্রণোদনা প্যাকেজের কাজ, ক্যাপিটাল এডুকেসি, খেলাপি ঋণ আদায়ে পিছিয়ে আছি। গ্রাহকসেবাতেও আমাদের ঘাটতি আছে। এসব বিষয়ে ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদ কাজ করছে।’
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ জানান, ১৯৭২ সালে এ ব্যাংকের নামকরণ করেন বঙ্গবন্ধু।