সিএনএন- এর এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
অংশীদার বা শেয়ারহোল্ডারদের বৈঠকের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথমে খবরটি প্রকাশ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। পরে সিএনএনকে ভোটের ফলাফল নিশ্চিত করে স্টারবাকস।
২০২০ অর্থবছরে স্টারবাকসের সিইও কেভিন জনসন ১৮ দশমিক ৬ লাখ ডলার বোনাস পেয়েছেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত কেভিনকে এ পদে ধরে রাখতে তাকে পুরস্কার হিসেবে এই বোনাস দেয়া হয়। স্টারবাকসের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ম্যারি ডিলন জানান, কাজের মূল্যায়ন হিসেবে সিইও পদের কর্মকর্তাদের বিশেষ বোনাস পাওয়ার বিষয়টি ২০১৯ সালের বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম অনুযায়ী, অংশীদারদের এ ভোটের ভিত্তিতে নিয়মের কোনো পরিবর্তন করতেই হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু আইন অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ভোট দেয়ার সুযোগ রাখতেই হবে। তবে বিনিয়োগকারীরা যদি মনে করেন যে একজন নির্বাহী অতিরিক্ত বেতন ভোগ করছেন তখন বুঝতে হবে কোথাও ভাঙনের সুর উঠেছে। সিডনি অস্টিন ল ফার্মের আইনজীবী ও অংশীদার কাই লিয়েকেফেট বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাহীরা দারুণ কাজ করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা কত উপার্জন করলেন, তা নিয়ে অংশীদারদের কোনো মাথাব্যথা থাকে না।
এক্ষেত্রে অংশীদাররা ইনস্টিটিউশনাল শেয়ারহোল্ডার সার্ভিস (আইএসএস) ও গ্লাস লুইস নামে দুটি প্রভাব বিস্তারকারী প্রক্সি অ্যাডভাইজরি ফার্মের নির্দেশনা দ্বারা অনুপ্রাণিত। সর্বোচ্চ সম্ভাব্য রিটার্ন নিশ্চিত করতে এ ফার্মগুলো নির্দেশনা দেয় এবং বিনিয়োগকারীদের ভোটের পদ্ধতি জানায়।
এ ফার্মগুলো অংশীদারদের এটি নিশ্চিত হতে পরামর্শ দেয় যে, যার বেতন বাড়ানো হচ্ছে বা বোনাস দেয়া হচ্ছে, তা যুক্তিযুক্ত কিনা। তবে এ নির্দেশনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে স্টারবাকস।