আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক সেক্রেটারি লিজ ট্রস মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) এক বক্তব্যে বলেন, এই কেন্দ্রগুলো এডিনবার্গ, কার্ডিফ, বেলফাস্ট ও ডার্লিংটনে হবে। মূল্য লক্ষ্য হবে রফতানি বৃদ্ধি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনাটি ভুল পথে চালিত হবে।
সরকার বলেছে, মহামারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা হিসেবে বড় ধরনের বাণিজ্য বাজারে প্রবেশ করতে হবে যুক্তরাজ্যকে। তাই রফতানি বাড়াতে আঞ্চলিক ব্যবসায়গুলোকে সহায়তা করার জন্য এই কেন্দ্রের মাধ্যমে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে।
লিজ ট্রস বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রতিটি অংশের উন্নয়নের জন্য ইউকে বাণিজ্যনীতি ব্যবহার করতে বদ্ধপরিকর আমরা। এই বাণিজ্য ও বিনিয়োগের কেন্দ্রগুলো রফতানি ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।’
সাম্প্রতিক সরকারি প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাজ্যজুড়ে ৬৫ লাখ কর্মসংস্থানকে সমর্থন করছে দেশটির রপ্তানি, যার মধ্যে ৭৪ শতাংশই লন্ডনের বাইরে। ওই প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রপ্তানিসমর্থিত চাকরিগুলোর বেতন সাধারণ সরকারি বেতনকাঠামোর চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি। তবে এখন সমস্যা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর ও করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি কমেছে। দেশটির অফিস অব ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের (ওএনএস) নতুন তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের পণ্য রপ্তানি জানুয়ারিতে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
করোনার আগের সময়ের চেয়ে বর্তমানে অর্থনীতি এখন ৯ শতাংশ ছোট হয়ে গেছে।
তবে সেভেন ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং আঞ্চলিক বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্মের সহপ্রতিষ্ঠাতা জাস্টিন উরকিহার্ট-স্টুয়ার্ট মনে করছেন, সরকারের নতুন এই পরিকল্পনা খুব বেশি সুশৃঙ্খল না। তিনি মনে করেন, প্রথমেই যা প্রয়োজন, তা হলো ব্যবসা তৈরি করা, রপ্তানিকে উৎসাহ দেওয়া এবং তারপর রপ্তানির পরামর্শ সরবরাহ করা। যেসব জায়গায় কেন্দ্র করার কথা ভাবা হচ্ছে, সেখানে তৈরি প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি।