আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিলটির উত্থাপনকারী এমপি জিনি অ্যান্ডারসন বলছেন, এটা তো অসুস্থতা না। তাই এতে করে অসুস্থতার ছুটি না নিয়ে মা এবং তাদের সঙ্গীরা ‘তাদের যৌথ এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সময় ও শোক পালনের’ অনুমতি পাবেন।
সারোগেসি পদ্ধতিতে কিংবা দত্তক নেওয়ার মাধ্যমে যারা মা হবেন তাদের জন্যও এই আইন প্রযোজ্য হবে। বিবিসি লিখেছে, ভারতের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডে এমন পদক্ষেপের গোড়াপত্তন ঘটলো।
নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়া ওই আইন অনুযায়ী এসব দম্পতি তিন দিনের ছুটি পাবেন।
এমপি অ্যান্ডারসন বলেন, নিউজিল্যান্ডে চার জনে একজন নারীকে গর্ভপাতের মতো পীড়াদায়ক এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ফলে অসুস্থতার ছুটি না নিয়ে এই আইন তাদেরকে শোক ও ক্ষতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেবে বলে আশা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তাদের এই দুঃখ তো কোনো অসুস্থতা নয়। এটা হলো ক্ষতি। আর এই ক্ষতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। তাই এমন ছুটির জন্য বিলটি উত্থাপন করেছি। এছাড়া ’নিউজিল্যান্ড প্রগতিশীল ও সহানুভূতিশীল আইন তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে’ বলেও এ সময় দাবি করেন তিনি।