নতুন এ শুল্ক আরোপ করে সাড়ে ৩২ কোটি ডলার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর কর আরোপ করে সমপরিমাণ রাজস্বই আয় করছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের ওপর প্রতিশোধ নিতে এই কর আরোপের বিষয়টির সূত্রপাত করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেন প্রশাসন এবার তা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর কর–শুল্ক আরোপের বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘তাঁরা নিশ্চিত করতে চান যে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো তাঁদের করের ন্যায্য অংশ প্রদান করবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি এই পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে এগিয়ে যায়, তবে আমরা যুক্তরাজ্যের স্বার্থ ও শিল্প রক্ষার জন্য সব বিকল্প বিবেচনা করব।’
অন্যদিকে ওয়াশিংটনে ইতিমধ্যে তালিকা চূড়ান্তের জন্য শুনানিও ডাকা হয়েছে। মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর যুক্তরাজ্যের আরোপিত করকে অযৌক্তিক, বৈষম্যমূলক ও বোঝা হিসেবে আখ্যায়িত করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের কর আরোপের বিষয়ে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের ওপর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আইনও আছে।
ভারত, অস্ট্রিয়া ও স্পেন একই ধরনের করের বিরুদ্ধে এ–জাতীয় পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা এখনো বলা হয়নি।
গত ৪ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ডিজিটাল পরিষেবা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করে। যুক্তরাজ্য সরকারের সূত্রগুলো জোর দিয়েছিল যে শুল্কের তালিকাটি বাড়ানোর পরিবর্তে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।