প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১–এর ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডকে ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত একই আইনের ৩৩ ধারায় নির্দেশিত সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করছে।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও ডিসেম্বরেও এসএলআর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পায় ব্যাংকটি।
নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকে জমা রাখা গ্রাহকের আমানতের সুরক্ষায় ওই আমানতের ১৯ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। নগদ অর্থ, বিল-বন্ডের মাধ্যমে এ অর্থ জমা রাখতে পারে ব্যাংকগুলো। দীর্ঘদিন ধরে সিআরআর ও এসএলআরের অর্থ জমা রাখতে না পারায় পদ্মা ব্যাংককে প্রায় ১৪১ কোটি টাকা দণ্ড সুদ ও জরিমানা করা হয়। সেই জরিমানার টাকা জমা দিতে ব্যাংকটিকে গত বছরের জানুয়ারিতে ৫ বছর সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১২১ ধারা অনুযায়ী সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যাংকটিকে এসএলআর সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সরকারের কাছে চিঠি দেয়।