তবে জানেন কি? শুধু তরমুজের লাল অংশই নয়, এর খোসা এমনকি বীজেও ভিন্ন সব পুষ্টিগুণ আছে। যদিও তরমুজের লাল অংশটুকু খেয়ে আমরা এর খোসা অর্থাৎ সবুজ অংশ ফেলে দিয়ে থাকি। অথচ এই খোসা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। চলুন জেনে নিই-
ফাইবারের উৎস: প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তরমুজের খোসায়। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফাইবারজাতীয় খাবারের বিকল্প নেই। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে তরমুজের খোসা। অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায় ফাইবার।
সেইসঙ্গে কোলনের রোগেরও ঝুঁকি হ্রাস করে। এ ছাড়াও ফাইবার কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এটি আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। সালাদ থেকে শুরু করে তরকারি রান্না করেও খেতে পারেন তরমুজের খোসা।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে: তরমুজের খোসায় থাকা উপাদানসমূহ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কদের মধ্যে যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন; তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করেছে তরমুজের খোসায় থাকা পুষ্টিগুণ।
এতে থাকে সাইট্রোলিন (সিট্রুলাইন) নামক অ্যামিনো এসিড। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সিট্রুলাইন সংকুচিত রক্তনালীর প্রসার ঘটায়। এ উপাদানটি সংকুচিত পেশিগুলোতেও অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এ কারণে তরমুজের খোসা হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাকৃতিক ভেষজ।
শক্তিবর্ধক: বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজের সবুজ অংশ ভায়াগ্রার ন্যায় কাজ করে। ইরেক্টিল ডিসফাংশন (লিঙ্গ শিথিলতা) রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাহায্য করে এটি।
সিট্রুলাইন অ্যামিনো অ্যাসিডের কারণে এটি ঘটে থাকে। এল-সিট্রুলাইন মূলত ভায়াগ্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই লিঙ্গ শিথিলতার উন্নত করতে পারে।
শরীরচর্চার ক্ষেত্রে: তরমুজের খোসায় থাকা সাইট্রোলিন শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে প্রচুর শক্তি যোগায়। এ অ্যামিনো এসিড রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায়। সাইট্রোলিন যেহেতু পেশিগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করে, ফলে ব্যায়াম করার সময় প্রচুর এনার্জি আসে এবং দীর্ঘসময় শরীরচর্চা করা যায়।
তাই ব্যায়াম করার আগে তরমুজের সবুজ অংশ খেতে পারেন। এটি সালাদের ন্যায় খেলেই বেশি উপকার মিলবে। তরমুজের বাইরের আবরণ ফেলে দিয়ে সবুজ অংশটুকু কেটে নিয়ে বিভিন্ন সালাদে মিশিয়ে খেতে পারেন।