বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একাধিক স্বল্প সঞ্চয় এবং পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ)-এ সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সমালোচনার ঝড় ওঠে সর্বত্র। বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই টুইটে তিনি জানিয়েছেন, এখনই সুদের হারে কোনও পরিবর্তন ঘটছে না। বরং ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে সুদের যে হার ছিল, তা-ই অব্যাহত থাকবে। তবে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) -এর সুদের আগের মতোই থাকবে, নাকি নয়া ঘোষণা অনুযায়ী কমবে, তা এখনও খোলসা করেননি সীতারামন।
বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তাতে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি)-র সুদের হার ৬.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৯ শতাংশ করা হয়। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (এসএসওয়াই)-য় সুদের হার ৭.৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয় ৬.৯ শতাংশ। পোস্ট অফিসে মেয়াদী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট)-এর ক্ষেত্রেও সুদের হার ০.৪০ থেকে ১.১ শতাংশ কমানো হয়। পিপিএফ-এর সুদের হার ৭.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৪ শতাংশ করা হয়, যা গত ৪৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে এসে ঠেকে।
বুধবার স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমানো নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছিল বিরোধীদলগুলির তরফে। এদিন সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পর তাদের কটাক্ষ পশ্চিমবঙ্গের ভোটের কথা ভেবেই আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হল সরকারি সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ৪ জেলায় ৩০ আসনে ও অসমে ৩৯ আসনে ভোট ভোটগ্রহণ চলছে।
২০১৬ সাল থেকে মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতি ত্রৈমাসিকে সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মোদী সরকার। সেই মতোই কাজ চলছে। গতমাসে আরবিআই-এর তরফে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার কথা জানানো হয়েছিল।