তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর মধ্যে মতবিরোধ প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটিজুড়ে বিক্ষোভ ও অসহযোগ আন্দোলন চলছে। এসব বিক্ষোভ দমনের নামে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় জান্তানিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা বাহিনী।
দুই মাসের বিক্ষোভে মৃত্যুসংখ্যা বেড়ে ৫৫৭ হয়েছে। অধিকার সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) এই তথ্য জানিয়েছে। আর আটক করা হয়েছে ২ হাজার ৬৫৮ জনকে।
এমন পরিস্থিতিতে চলমান আন্দোলন আরও জোরালো করতে নতুন নতুন কৌশল নিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
মিয়ানমারে সেনাশাসনবিরোধীরা তাদের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রোববার ইস্টার সানডেতে ‘ইস্টার এগ’ তৈরি করেছেন। এই ‘ইস্টার এগ’ সেনাশাসনের প্রতি অবজ্ঞা-অবহেলা প্রদর্শনের প্রতীক।
আন্দোলনকারীরা শনিবার রাতে প্রতিবাদী মোমবাতি প্রজ্বালনের পর অনলাইনে ইস্টার এগের' ছবি পোস্ট করেছেন। ছবির সঙ্গে তারা লিখেছেন সেনাশাসনবিরোধী নানা স্লোগান।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটিতে তথ্যের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। তারা ইন্টারনেট সেবা নিয়ন্ত্রণ করছে। গত শুক্রবার তারা ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেয়।
মিয়ানমারে গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় এনএলডি। তবে এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন ভোরে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ এনএলডির শীর্ষ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তারের পর এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতায় বসেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লাইং। সূত্র রয়টার্স।