সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গরিবের ব্যাংক নামে পরিচিত গ্রামীণ ব্যাংক ভিক্ষুক সমাজের প্রতি যে সম্মান দেখিয়েছে- তা বিরল। এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নিতে পারে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশ থেকে উঠে যাবে ভিক্ষাবৃত্তি। তখন আজকের ভিক্ষুকরাই গড়ে উঠবেন একেকজন ছোট ছোট নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে। তবে তার জন্য প্রয়োজন সঠিক তত্ত্বাবধান এবং নিখুঁত পরিচর্যা।
গ্রামীণ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সালের জুলাই থেকে সংগ্রামী সদস্য (ভিক্ষুক) কর্মসূচি কার্যক্রম চালু করা হয়। ভিক্ষুকদের খুঁজে যে শাখার আওতাধীন এলাকায় পাওয়া যায় সে শাখায় সংগ্রামী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কোনো সংগ্রামী সদস্য মৃত্যুবরণ করলে তাকে ঋণ পূর্ণপরিশোধ করতে হয় না বরং তার দাফন-কাফনের জন্য ১ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ বলেন, করোনা মহামারির দুর্যোগকালে মানবিক সহায়তা হিসাবে ২০ হাজার ৫৯২ জন সংগ্রামী সদস্যকে (ভিক্ষুক) ত্রাণসামগ্রী (চাল, ডাল, আলু, লবণ ও সয়াবিন তেল) ও নগদ টাকাসহ ১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এটা একটা নতুন এবং মানবিক কর্মসূচি। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সংগ্রামী সদস্যরা ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন। এর মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তির অভিশাপ থেকে চিরদিনের জন্য মুক্তি পাচ্ছেন তারা।