এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আগেই জানিয়েছে, ব্যাংক চালু থাকলে বন্ধ হবে না পুঁজিবাজার। দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জও জোর দিয়ে বলেছে, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে পুঁজিবাজার চালু রাখা হবে।
গত সোমবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে প্রথম দিন থেকেই মোটামুটি শিথিল লকডাউন। তৃতীয় দিন থেকে দেশের সব মহানগরে চালু করে দেয়া হয় বাস। যদিও অন্যান্য যানবাহন চলছে প্রথম দিন থেকেই। এরপর খুলে দেয়া হয় দোকানপাট ও শপিং মল।
এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রতিদিন রেকর্ড করতে থাকায় সরকার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানানো হয়েছে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন, “এটা কমপ্লিট লকডাউন, কঠোর লকডাউন। কোনো অফিস আদালত খোলা থাকবে না। সেখানে শুধু জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে।”
লকডাউনের এক সপ্তাহ সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইব যে, এই এক সপ্তাহ মানুষজন একদম ঘরে থাকবে। সেভাবে মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে। এক সপ্তাহ কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলবে।”
এবারের লকডাউনে যানবাহন তো বটেই, বন্ধ থাকবে সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। আগামী রোববার এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা হবে বলে জানান তিনি।
এ পর্যায়ে ব্যাংক চলবে কি না- এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “ব্যাংক হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সেবা। এ সেবা দিতে আমরা বাধ্য এবং এটা চলমান রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, “এ সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
চলমান লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অফিসের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।