এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ১৩ কোটি ৮৮ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৯ লাখ ৮৫ হাজার। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ হাজার ৯২৪ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯০১ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৩ জন। এতে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ১৬৬ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২১ লাখ ৪৯ হাজার ২২৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯২ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ১৮০ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থান উঠে এসেছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৮৯০ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৫২ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩৪ জন, রাশিয়ায় ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ২০৯ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩০৫ জন, ইতালি ৩৮ লাখ ৯ হাজার ১৯৩ জন, তুরস্কে ৪০ লাখ ২৫ হাজার ৫৫৭ জন, স্পেন ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার ২২ জন, জার্মানি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৩৮২ জন এবং মেক্সিকোতে ২২ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৯৯ হাজার ৭৭৭ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪ হাজার, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ১৬১ জন, ইতালিতে এক লাখ ১৫ হাজার ৫৫৭ জন, তুরস্কে ৩৪ হাজার ৭৩৪ জন, স্পেনে ৭৬ হাজার ৭৫৬ জন, জার্মানিতে ৭৯ হাজার ৮১৩ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ১০ হাজার ২৯৪ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। বিশ্ব এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে।