তবে সব সেনাকে সরিয়ে নিলেও আফগানিস্তানকে সব ধরনের সমর্থন দিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে দেশটিতে আর সামরিক সহায়তা দিতে চান না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের একটি কক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধের অবসানের সময় এসেছে। নাইন-ইলেভেনের পর ২০০১ সালে ওই স্থান থেকেই তালেবানদের উৎখাত করতে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন এবং বিমান হামলার ঘোষণা দেয়া হয়।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইট টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছর পূর্তি। ওই হামলাকে কেন্দ্র করেই তালেবানদের উৎখাত করতে আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
শক্তিশালী ন্যাটো-আফগান মিশনের ৯ হাজার ৬শ সদস্যের মধ্যে মার্কিন সেনা রয়েছে কমপক্ষে ২ হাজার ৫শ। কিন্তু চলতি বছরের আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব মার্কিন সেনার আফগানিস্তান ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন সরকার ঘোষণা দেয়, তালেবান যদি তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট আফগানিস্তান থেকে পরবর্তী ১৪ মাসের (২০২১ সালের মে) মধ্যে সকল সেনা প্রত্যাহার করে নেবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর কর্মকর্তারা বলছেন, আফগানিস্তানে সহিংসতা কমানোর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে তালেবান। তবুও তাদের সময় দেয়া হচ্ছে। কাবুলে আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তারা সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে শান্তি আলোচনা চালিয়ে নিতে চান।
এক টুইট বার্তায় আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেন, বুধবার তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রতি তার দেশের শ্রদ্ধা রয়েছে।
তিনি জানান, সহজভাবে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে যাবেন। নিজ দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশংসা করে আফরাফ গনি বলেন, তারা নিজ দেশের জনগণ এবং দেশকে রক্ষায় পুরোপুরি সক্ষম।