দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও) এবং হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ড. রেড্ডিজ যৌথভাবে ওই প্রতিষেধক তৈরি করেছে।
ডিআরডিও এবং ড. রেড্ডিজের যৌথভাবে তৈরি এই ওষুধের নাম দেওয়া হয়েছে ‘২-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ’ (২-ডিজি)।
ডিসিজিআই জানায়, গত বছর মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়। তিন ধাপে দেশটির মোট ১১টি হাসপাতালে ১১০ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয় ওষুধটি। দেখা গেছে, কোভিড আক্রান্ত রোগীরা ওই ওষুধে দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, যাদের আলাদা করে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে, তাদের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করছে ডিআরডিও-র তৈরি এই প্রতিষেধকটি। যাদেরই এই ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, করোনা পরীক্ষায় তাঁদের অধিকাংশের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ।
বিশ্বব্যাপী করোনার যত প্রতিষেধক এ মুহূর্তে প্রয়োগ হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। নাকে ড্রপ দেওয়া এক প্রতিষেধকের কার্যকারিতা এখনো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেই অর্থে ‘২–ডিজি’ প্রতিষেধক করোনার প্রথম ‘ওরাল মেডিসিন’।
ভারতে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে চার হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও সরকারি তথ্যমতে, শনিবার দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় টানা চতুর্থ দিনের মতো ৪ লাখের বেশি কোভিড রোগী শনাক্তের খবরও নিশ্চিত করা হয়েছে।