রোববার (৯ মে) সকালে এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপের কাছে ভারত মহাসাগরের একটি অংশে আছড়ে পড়ে।
রোববার সকালে বেইজিং এই তথ্য জানায়।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষের ওই অংশটি আছড়ে পড়ার আগে বেশিরভাগ অংশ বায়ুমণ্ডলে থাকা অবস্থায়ই আগুনে পুড়ে যায়।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে অবশ্য আগেই জানানো হয়েছিল যে, রকেটের এই ধ্বংসাবশেষটি রোববার সকালে পৃথিবীতে আঘাত হানবে।
চীনের ন্যাশনাল স্পেস অ্যামিনিস্ট্রেশনের দেওয়া তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের সময় শনিবার রাত ১০টা ২৪ মিনিটে বা বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল ৮টা ২৪ মিনিটে রকেটের ওই ধ্বংসাবশেষটি মালদ্বীপের কাছে ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়ে।
যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা।
এর আগে ধ্বংসাবশেষটি ইতালির জনবহুল কোনো এলাকায় পড়তে পারে বলে জানিয়েছিল দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। যার কারণে ইতালির উমব্রিয়া, লাজিও, আবরুজ্জো, মোলিসে, ক্যাম্পানিয়া, ব্যাসিলিকাটা, পুগলিয়া, কালাব্রিয়া, সিসিলি ও সার্ডিনিয়া— এই দশ অঞ্চলে সতর্কতাও জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
তবে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র রিপোর্টার জিম স্কিউটো জানান, ‘লং মার্চ ফাইভ বি’ চীনা নভোযানের ধ্বংসাবশেষটি মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তানের কোনো অংশে আছড়ে পড়তে পারে।
উল্লেখ্য, চীনা মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য ‘লং মার্চ ৫বি রকেট’টি গত ২৯ এপ্রিল উৎক্ষেপণ করা হয়। রকেটটিকে সফলভাবে তিয়ানহে স্পেস স্টেশনের মডিউলকে কক্ষপথে স্থাপন করা গেলেও পরে সেটির ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারায় গ্রাউন্ড স্টেশন।
পরে এর ভেতরের ১০০ ফুট লম্বা (৩০ মিটার) একটি অংশ রকেট থেকে আলাদা হয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে। সেটাই রোববার সকালে আছড়ে পড়ে মালদ্বীপের কাছাকাছি।