শনিবার (১৫ মে) রাতভর বিমান হামলা পর আগ্রাসনের সপ্তম দিন রোববার (১৬ মে) সকালেও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৯৫০ জন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, আবাসিক ভবন ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে চলছে এই হামলা। পাশাপাশি গোলাবর্ষণ করা হয় দূরপাল্লার কামান থেকে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ারের বাড়ি লক্ষ্য করে। তবে রকেট হামলা চালিয়ে পাল্টা জবাব দেয় হামাসও। এতে কয়েকটি ইসরায়েলি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণ গেছে আরও দুই ইসরায়েলের। এনিয়ে মোট ১০ ইসরায়েলির মৃত্যু হলো হামাসের রকেট হামলায়।
এদিকে, নাকা দিবসে উত্তাল হয়ে ওঠে পশ্চিম তীর। ইহুদি দখলদারিত্ব দিবসের প্রতিবাদে হওয়া ওই বিক্ষোভে গুলি করে অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনিকে আহত করেছে ইসরায়েলই নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে শনিবার হামলা চালিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) কার্যালয় ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে গাজার ১১তলা বিশিষ্ট আল-জালা ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভবনটিতে আল-জাজিরা, এপিসহ কিছু মিডিয়া অফিসের কার্যালয় ছিল। ছিল কিছু আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টও।
শনিবার রাতে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া জানিয়েছেন, পাল্টা জবাব দেয়া হবে।