এই পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হলো ব্রেক্সিট ও করোনা মহামারি। ব্রেক্সিটের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া করোনার এই সময়ে চীনা সামগ্রীর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে দেশটিতে। করোনায় অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান (ওএনএস) বলছে, যুক্তরাজ্য এবং ইইউর মধ্যে নতুন সম্পর্ক শুরুর সময় বাণিজ্য ব্যাহত হয়েছে এমন প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে।
ওএনএস বলছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে জার্মানি থেকে পণ্য আমদানি কমছে। মূলত যুক্তরাজ্য থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিচ্ছেদের পর বাণিজ্য পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, সেই অনিশ্চয়তার কারণেই এটি হচ্ছিল। এর মধ্যে করোনা মহামারির কারণে জার্মানির যানবাহন উৎপাদন এবং বৈশ্বিক রপ্তানি উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লকডাউন ব্যবস্থাপনার কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় গাড়ি বিক্রি প্রায় শূন্যের কাছে নেমে আসে যুক্তরাজ্যে।
অন্যদিকে গত বছর মহামারির মধ্যে একমাত্র চীনই অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে।
১৯৯৭ সাল থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে আমদানি–রপ্তানি তথ্য সংগ্রহ শুরু করে যুক্তরাজ্য। সে সময় থেকেই জার্মানি যুক্তরাজ্যের আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস ছিল।