স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নৌকাটি নাইজার নদীতে ডুবে যাওয়ায় এর আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় নাইজার রাজ্য এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কেবি রাজ্যের ওয়ারা এলাকায় থাকা অবস্থায় নৌকাটি ডুবে যায়। ন্যাশনাল ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েস অথরিটির স্থানীয় কর্মকর্তা ইউসুফ বিরমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই কর্মকর্তা জানান, ওই নৌকাটিতে ১৮০ জন যাত্রীর ধারণা ক্ষমতা ছিল না। তারপরেও নৌকাটিতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হয়েছিল। ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ জনকে জীবিত এবং চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে ১৫৬ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এদের কেউ আর বেঁচে নেই।
বুধবার সকালে ওই দুর্ঘটনার পর পরই এক কর্মকর্তা জানান যে, প্রায় ১৪০ জন নিখোঁজ রয়েছে। পরবর্তীতে জানানো হয় এই সংখ্যা দেড় শতাধিক।
নাইজেরিয়ায় প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা, খারাপ আবহাওয়া, অনিয়মের কারণেই মূলত এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে বুধবার যে দুর্ঘটনা ঘটেছে এটাই হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা।
ইউসুফ বিরমা বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত নৌকাটি কাঠের তৈরি এবং এটি বেশ পুরোনো ছিল। নৌকা থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নামানোর কথা বলা হলেও কেউ তা কানে তোলেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, নৌকার যাত্রীরা নাইজার রাজ্যের মালেলে মার্কেটের দিকে যাচ্ছিল। নৌকাটি ছেড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পরই এটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়। তিনি আরও বলেন, একটি স্বর্ণের খনি থেকে আনা বেশ কিছু বালু ভর্তি ব্যাগও ওই নৌকায় তোলা হয়েছিল।
এর আগে চলতি মাসে শুরুতে নাইজার রাজ্যে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়। সে সময়ও নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছিল।