বৃহস্পতিবার (২৭ মে) ফল ঘোষণার পরপরই দামেস্কের রাস্তায় নেমে আসেন বাশার আল আসাদের সমর্থকরা। রাতভর চলে বিজয় উৎসব। আসাদ আবারও ক্ষমতায় আসায় সব বাধাবিপত্তি পেরিয়ে দেশটি সামনে এগিয়ে যাবে বল মত তাদের।
তারা বলেন, এই বিজয় আমাদের। সত্যের জয় হয়েছে। আসাদই আমাদের প্রেসিডেন্ট। আসাদ বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছে যে, তিনিই সিরিয়ার বটবৃক্ষ। তিনিই আমাদের দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা সবসময় তার পাশে আছি।
এর আগে, নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার। নির্বাচনে ৯৫ দশমিক এক শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আসাদ। আর তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন যথাক্রমে এক দশমিক ৫ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট।
হামমুদ সাব্বাঘ বলেন, আমি খুবই আনন্দিত এই ফল প্রকাশ করতে পেরে। হাফেজ আসাদের ছেলে বাশার আল আসাদ বিপুল ভোটে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আমাদের গর্ব ও অহংকার।
এদিকে, নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির বিদ্রোহীরা। আসাদ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে। আর এ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির নির্বাসিত বিরোধী নেতারা। এছাড়া সিরিয়ার এ নির্বাচনকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করেছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সোচ্চার না হওয়ায় দুঃসাহস দেখিয়েছে ইসরায়েল’
গেল বুধবার (২৬ মে) দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনটি হয়েছে মূলত সরকারি নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। এছাড়া বিদেশে সিরীয় কিছু দূতাবাসে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। এর আগে ২০১৪ সালে সিরিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা বর্জন করেছিল বিরোধীরা।