কয়েকমাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার বায়োএনটেক ফাইজারের শিশুদের জন্য তৈরি করা টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)। অনুমোদন পাওয়ার পরপরই প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান আলবার্ট বউরলা ও উগুর শাহীন ইএমএ'কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রেও বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা টিকা তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সব ধরনের করোনা থেকে শতভাগ সুরক্ষা দেবে। এমন সিদ্ধান্তে খুশি জার্মান অভিভাবকরা।
জার্মানের এক নাগরিক বলেন, খবরটা শুনে ভালো লাগল, আশা করছি শিশুরা আবার আগের মতো স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাবে। আমি নিজেও টিকা নিয়েছি এবার আমার বাচ্চারা টিকা পেলেই হয়। যদিও আরও এক বছর আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে কারণ আমার বাচ্চা দুটোর বয়স এখনো ১২ হয়নি।
আগামী ৭ জুন থেকে জার্মানিতে শিশুদের টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্তে আস্থা রাখছেন প্রবাসীরাও। সবার কণ্ঠে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আকুতি।
বড়দের মতো শিশুদের ক্ষেত্রেও টিকা গ্রহণের পর শরীরে হালকা জ্বর ও প্রয়োগের স্থানে হালকা ব্যথা অনুভবের বিষয়টি তেমন কোনো শারীরিক জটিলতায় ফেলবে না বলে আশ্বস্ত করছেন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা।