এছাড়া আগের দিনের তুলনায় মঙ্গলবার শনাক্তের সংখ্যাও কমেছে। এদিন দেশটিতে ৩ হাজার ১৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৩৮৩ জন।
তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। গত সাতদিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রথমবারের মতো করোনায় কেউ মারা না যাওয়ায় যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এই সংবাদ শুনে সারা দেশ ‘ভীষণ আনন্দিত’ হবে।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিশ্চিতভাবে কাজ করছে – আপনাকে, আপনার আশপাশের মানুষকে ও আপনার প্রিয়জনকে সুরক্ষা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে নিঃসন্দেহে এই ভালো খবরের পরেও আমরা জানি যে ভাইরাসটিকে আমরা এখনও পরাজিত করতে পারিনি। যেহেতু শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে চলছে, তাই হাত, মুখ, ফাঁকা জায়গা এই বিষয়গুলোর কথা মনে রাখতে হবে। যখন ভবনের ভেতরে থাকবেন সতেজ বাতাস ভেতরে প্রবেশ করতে দিন এবং অবশ্যই, যখন আপনি পারবেন তখন উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে নিন।’
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের পরিচালক চিকিৎসক ইভোন ডয়েল বলেছেন, মৃত্যুশূন্যের বিষয়টি আশাব্যঞ্জক। তবে শনাক্তের সংখ্যা যেহেতু আবার বাড়ছে তাই সবাইকে দ্রুত ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দেন তিনি।
এ বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা আবার বেড়ে যাওয়ার পর তা ধীরে ধীরে আবার কমতে শুরু করে। মূলত লোকজন ভ্যাকসিনের প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর থেকেই শনাক্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্যমাত্রায় কমতে থাকে।
দেশটিতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন।