পোপ ফ্রান্সিসের কাছে দেওয়া চিঠিতে মার্ক্স জানিয়েছেন, তিনি মিউনিখ এবং ফ্রাইসিং এর আর্চবিশপের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছেন। গির্জা এখন একটি ‘কানা গলিতে’ পৌঁছে গেছে বলেও মনে করেন তিনি। তার এই পদত্যাগের ঘটনা নতুন শুরুর জন্য গির্জাকে উৎসাহিত করবে বলেও মনে করেন তিনি।
নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে পোপ ফ্রান্সিসকে দেওয়া চিঠিতে মার্ক্স লিখেছেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে গির্জার কর্মকর্তাদের দ্বারা সংঘটিত যৌন নির্যাতনে ফলে যে বিপর্যয় ঘটেছে, আমি তার দায় ভাগ করে নিতে চাই।’
মার্ক্স জানান, গত ১০ বছরের বিভিন্ন তদন্ত ও প্রতিবেদন দেখে এটা তার কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে- ক্যথলিক চার্চে কেবল ‘ব্যক্তিগত এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা’ নয় বরং ‘প্রাতিষ্ঠানিক ও পরিচালনাগত’ দুর্বলতাও রয়েছে।
তিনি লিখেছেন, ‘সাম্প্রতিক বিভিন্ন আলোচনায় দেখা গেছে, অনেকেই এই সংকটে নিজেদের এবং প্রতিষ্ঠানের দায় স্বীকার করতে চান না এবং এর ফলে তারা যেকোনো সংস্কারের বিরোধিতা করেন।’
পোপকে গত ২১ মে লেখা এই চিঠিটি প্রকাশ করা হয় গত শুক্রবার। চিঠি প্রকাশ করার ব্যাপারে পোপের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্যাটিকান থেকে কোনো উত্তর আসার আগ পর্যন্ত তাকে দায়িত্বপালন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগেও গির্জার কর্মকর্তাদের যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সরব ছিলেন রাইনহার্ড মার্ক্স। গির্জার পক্ষ থেকে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। যৌন নির্যাতন বিষয়ে গির্জার বক্তব্যের প্রতিবাদে এপ্রিলে ফেডারেল ক্রস অব মেরিট পদক প্রত্যাখান করেন মার্ক্স।
সূত্র: ডয়চে ভেলে