তার এই মন্তব্য এমন সময়ে আসলো যখন ইসরায়েলের নতুন সরকার গঠণকে ঘিরে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিরল এক সতর্কতা জারি করেছে দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা।
গত শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সিন বেট নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান নাদাভ আরগামান বলেন, সম্প্রতি অতি সহিংস ও উসকানিমূলক পরিস্থিতি তৈরির লক্ষণ দেখা গেছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এমনটা চোখে পরছে। তবে তিনি কোনো নাম উল্লেখ করেননি।
এই প্রবণতা নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে যে তারা সহিংস হয়ে উঠতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই লোকগুলো বেআইনি কিছু করে বসতে পারে। যা হয়ত শারীরিক হামলা পর্যন্তও গড়াতে পারে এমন সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসরায়েলে গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে এক ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সমর্থন অর্জনেও ব্যর্থ হন। এমতাবস্থায় পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ায়ের লাপিদ জোট সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সমর্থন জোটাতে সমর্থ হয়েছেন। তার এই জোটে বামপন্থি, উদারপন্থি, কট্টরপন্থি, জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় দল রয়েছে। এ ছাড়া দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকার গঠনে যুক্ত হচ্ছে একটি আরব ইসলামি দল।
মধ্যপন্থি লাপিদের সঙ্গে জোট গঠণ করায় নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া নাফতালি বেনেতের প্রতি কিছু ডানপন্থি গোষ্ঠী দারুণ ক্ষুব্ধ। সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে আক্রমণ করে অসংখ্য পোস্ট করা হচ্ছে। তাছাড়া নির্বাচনের আগে বেনেত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি লাপিদ কিংবা কোনো আরব দলের সঙ্গে জোট করবেন না। কিন্তু এখন করছেন তার উল্টোটা। এমতাবস্থায় তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মূলত বেনেতের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতি ইঙ্গিত করেই নেতানিয়াহু এমন মন্তব্য করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।