সম্প্রতি এ বিষয়ে বিটিভির মহাপরিচালককে সভাপতি ও ঊর্ধ্বতন চলচ্চিত্র সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবির ভূঁইয়াকে সদস্য সচিব করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
সুজাতা ছাড়াও এ তালিকায় আরও রয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের টিভি-২ শাখার উপসচিব, চলচ্চিত্র পরিচালক ও কাহিনিকার আবদুস সামাদ খোকন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ আলম সিকদার জয়, শেখ মুন্নি আক্তার, শেখ আওলাদ হোসেন রুহুল, মো. গিায়সউদ্দিন খান, উপস্থাপিকা ও নাট্যশিল্পী তাহেরা ফেরদৌস জেনিফার, প্রডিউসার অ্যান্ড আর্ট ডিরেক্টর তাহমিনা তাবাসসুম রুপা।
জানা যায়, এ কমিটি বিটিভিতে প্রদর্শনের জন্য চলচ্চিত্র যাচাই বাছাই করে সুপারিশ দেবেন বলে প্রজ্ঞাপনে কমিটির নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। কমপক্ষে সাতজন সদস্য উপস্থিত থাকলে কমিটির কোরাম পূর্ণ হবে বলে মনে করা হবে এবং চলচ্চিত্র প্রিভিউ কার্যক্রম চালানো যাবে। তবে কমিটিতে স্থান পাওয়া কেউ বিটিভির জন্য বেসরকারি উদ্যোগে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অনুষ্ঠান নির্মাণে অংশ নিতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় অভিনেত্রী সুজাতা আজিমকে। ১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রূপবান’ সিনেমায় মাত্র বারো বছর বয়সী নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তার সেই চরিত্রটি আজও দর্শক নন্দিত। তারও দুই বছর আগে ১৯৬৩ সালে সালাউদ্দিন পরিচালিত ‘ধারাপাত’র মাধ্যমে তার সিনেমায় অভিষেক।
নায়িকা হিসেবে সুজাতার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘রূপবান’, ‘ডাক বাবু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, ‘অপরাজেয়’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘কাঞ্চনমালা’, ‘আলিবাবা’, ‘বেঈমান’, ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘রাতের কলি’ প্রভৃতি।
১৯৮৮ সালে ‘অর্পণ' সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন সুজাতা।