ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের র্যাংকিং অনুসারে টানা সাত বছর মুকুট ধরে রাখা মেলবোর্ন শহর এবার শীর্ষ দশের আট নম্বর আঁকড়ে ধরেছে। ২০১৭ এরপর সামান্য ব্যবধানে ভিয়েনা থেকে পিছিয়ে টানা দুবছর (২০১৮ ও ২০১৯) ২য় স্থান ধরে রাখে শহরটি। তবে এবার করোনার ছোবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পিছিয়ে যেতে হয়েছে আরও ছয় ধাপ।
অন্যদিকে অস্ট্রেলীয় শহর হিসেবে বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পাওয়া সিডনি কিছুটা হতাশ করেছে স্থানীয়দের। তবুও দখলে আছে এগারতম স্থান। এর আগে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে শীর্ষ দশ থেকে বাদ পড়ে প্রশান্ত পাড়ের এ শহরটি।
শীর্ষ দশের তৃতীয় স্থান ও অস্ট্রেলিয়ার সেরা হিসেবে মুকুট কেড়ে নিয়েছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী এডিলেড। তারপরেই আছে পার্থ। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ ও অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় এ শহর। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় রাজ্য ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থের জীবনমান ধারাবাহিকভাবে একটি মাত্রা অনুযায়ী এগোচ্ছে, তাই চমক দেখিয়েছে শহরটি।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বাইব্রেন্ট সিটি বিস্রবেন প্রশংসা ছড়িয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে টপটেনে। সিডনির আগে অবস্থান নিয়ে দশ নম্বর জায়গাটিতে মান উন্নয়নের জানান দিয়েছে কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী বিস্রবেন।
স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামোসহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে অবদান রেখে এই র্যাংকিংয়ে তালিকাভুক্ত হতে হয়। আর এখানে অস্ট্রেলিয়ার মুনশিয়ানা যেন সবার চেয়ে বেশি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই দেশটি সুখী দেশ হিসেবেও সমাদৃত।
বাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহর:
১. অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড (96.0)
২. ওসাকা, জাপান (94.2)
৩. অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া (94.0)
৪. ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড (93.7)
৫. টোকিও, জাপান (93.7)
৬. পার্থ, অস্ট্রেলিয়া (93.3)
৭. জুরিখ, সুইজারল্যান্ড (92.8)
৮. জেনেভা, সুইজারল্যান্ড (92.5) (জেনেভা ও মেলবোর্ন অষ্টম স্থানে রয়েছে)
৯. মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া (92.5)
১০. ব্রিসবেন, অস্ট্রেলিয়া (92.4)