গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর আটক করা হয় ৭৫ বছর বয়সী সু চিকে। পরে তাকেসহ গৃহবন্দি করা হয় ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে।
সু চির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগটি হলো আর্থিক দুর্নীতি। এর দায়ে ১৫ বছরের জেল হতে পারে তার। ১৪ বছরের জেল হতে পারে অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট ভঙ্গের অভিযোগে। ওয়াকিটকি কেনার সময় রাষ্ট্রের আমদানি-রফতানি আইন ভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে সু চির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ প্রমাণিত তার সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
এছাড়া লাইসেন্সবিহীন ওয়াকিটকি রাখার দায়ে আরও এক বছর জেল হতে পারে সু চির। গত নির্বাচনের সময় করোনা বিধিনিষেধ না মানার অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর দায়ে এ নেতার তিন বছরের জেল হতে পারে। এছাড়া দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির দায়ে তিন বছরের সাজা হতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পরপরই দেশটির গণতন্ত্রপন্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। সামরিক শাসনবিরোধী এই বিক্ষোভে জান্তা নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত ৮৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এছাড়া সাড়ে চার হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে জান্তা সরকার।
এদিকে অং সান সু চির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। মানবাধিকার সংগঠনটির ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেন, সু চির বিরুদ্ধে যে বিচার হচ্ছে তা অবান্তর, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার বিরুদ্ধে আনা সকল মামলা প্রত্যাহার করা দরকার।
সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান