অ্যাপল ডেইলির মালিক মিডিয়া মোগল জিমি লাইকে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।
শুরু থেকেই সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত অ্যাপল ডেইলি। জিমি লাই চীনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শিশু অবস্থায় তাকে হংকংয়ে পাচার করা হয়। এর আগে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, তাকে কারাগারে রাখা হলেও তিনি ‘অর্থপূর্ণ ভাবে জীবন-যাপন করবেন’।
তিনি বলেন, ‘আমি এখানে (হংকং) এক ডলার নিয়ে হাজির হয়েছিলাম। আমি এই জায়গার কারণে সব কিছু পেয়েছি। এখন যদি পরিশোধের সময় হয় তাহলে এটা আমার মুক্তি।’
লাইয়ের বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে দুটি অভিযোগ হংকংয়ে নতুন কার্যকর হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায়। এর শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
গত বছর চীন হংকংয়ে এই আইন কার্যকর করে। এতে বিচ্ছিন্নবাদ ও সরকারের কর্তৃত্ব না মানাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই অপরাধে গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত ডজনখানেক বিশিষ্ট সমাজকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার অ্যাপল ডেইলির অফিসে প্রবেশ করে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর ওই অফিসে প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা একটি মিডিয়া কোম্পানিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। অ্যাপল ডেইলির এডিটর ইন চিফ রিয়ান ল’, এর প্রধান প্রতিষ্ঠান নেক্সট ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চিয়াং কিম হাং, প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা চো তাত-কুয়েন, অ্যাপল ডেইলির প্রকাশক চান পুই-ম্যান এবং এর পরিচালক চিয়াং চি-ওয়েইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে তারা জানিয়েছে, পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বয়স ৪৭ থেকে ৬৩ বছর। গত এক বছরে এ নিয়ে দু’বার অ্যাপল ডেইলির কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলো। এর আগে গত বছরের আগস্টে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।