শুক্রবার (২ জুলাই) ভোরে নতুন করে এ হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, গাজা থেকে তাদের দিকে বিস্ফোরকভর্তি বেলুন ছোড়া হয়েছিল। জবাবে হামাসের অস্ত্রাগারে হামলা চালায় তারা। ইসরায়েলের দাবি, হামলার স্থানে হামাস নিজেদের অস্ত্রের উন্নয়ন ও গবেষণা করত। যদিও বেলুন ছোড়ার অভিযোগ নিয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি হামাস।
মে মাসের যুদ্ধবিরতির পর গত জুনে দুইবার বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। তখনও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল হামাসের বেলুন বোমা নিক্ষেপের জবাবে হামলা চালিয়েছে তারা।
নানা ধরনের চাপের মুখে গত ২১ মে শেষ পর্যন্ত মিশরের মধ্যস্ততায় গাজায় বিমান হামলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু সেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে বারবার গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
যদিও এরই মধ্যে ইসরায়েলে পরিবর্তন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ। কিন্তু থেমে নেই ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতা। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীত্বের বদল হলেও বদলায়নি ইসরায়েলি নীতি।
গত ১০ থেকে ২১ মে পর্যন্ত টানা ১১ দিনের সংঘাতে প্রায় ২৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর মধ্যে ৬৬ জনই শিশু। অপরদিকে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলে রকেট হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। তবে হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক। সূত্র: আল জাজিরা।