প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচার আশায় দেশটির ১৩০ কোটি মানুষকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্বেচ্ছা আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেন মোদি। তার এই নির্দেশের পর দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মতো বড় শহরগুলোর লাখ লাখ দরিদ্র অভিবাসী শ্রমিক মানবিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছেন। অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়ায় পায়ে হেটে শত শত মাইল দূরে গ্রামে ফেরার চেষ্টা করছেন।
তাদের মধ্যে অনেকেই ছোট শিশু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিনের পর দিন হেটে চলেছেন। ঘরমুখো এসব মানুষ পায়ে হেটে রওয়ানা করেও রাস্তায় খাবার অথবা পানিও পাচ্ছেন না। রোববার দেশটির পঞ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গুজরাটের সুরাটে ৫ শতাশিক শ্রমিক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। কর্মহীন হয়ে পরায় দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে নিজ বাসা-বাড়িতে ফিরতে পুলিশ বাধা দেয়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর সোমবার দেশটির পুলিশ ৯১ জন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে। সুরাটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ভিধি চৌধুরী বলেন, পুলিশ তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে, বাস এবং ট্রেন চালু না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফেরা যাবে না। কিন্তু শ্রমিকরা তাতে কর্ণপাত না করে পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ শুরু করে।
তিনি বলেন, সুরাটের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এই শ্রমিকরা। পরে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে হটিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সোমবার লকডাউনের নির্দেশ উপেক্ষার অভিযোগে ৯৩ জন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভারতে এখন পর্যন্ত মাত্র এক হাজার ৭১ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে; তাদের মধ্যে ২৯ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। বিশ্বের বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং চীনের চেয়ে অনেক কম। তবে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ থেকে কয়েকদিন পিছিয়ে রয়েছে ভারত। এটি শুরু হলে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা একেবারে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।
সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি।