এই নিয়ে চলতি বছরে টানা চার মাস প্রবৃদ্ধির মুখ দেখল যুক্তরাজ্য। অবশ্য মে মাসে যতটা আশা করা হয়েছিল তার চেয়ে কম হয়েছে প্রবৃদ্ধি। এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ওই মাসে অপ্রয়োজনীয় খুচরা পণ্য বিক্রি ও আতিথেয়তা সংস্থাগুলো ছাড়া বাকি অনেক ব্যবসার জন্য নিষেধাজ্ঞা সহজ হয়েছিল।
গত জুলাইয়ের পর, অর্থাৎ ৯ মাসের মধ্যে এপ্রিলেই প্রথম এতটা প্রবৃদ্ধি দেখেছিল দেশটি। তবে অর্থনীতি এখনো করোনা–পূর্ববর্তী অবস্থার চেয়ে পিছিয়ে আছে বলছে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ওএনএস)। ওই সময় প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ১ শতাংশের মতো।
অর্থনীতিবিদ পল ডালেস বলেন, অবশ্যই, অর্থনীতিটি করোনা–পূর্ববর্তী অবস্থায় যেতে পুনরুদ্ধারের গতি প্রথম থেকেই ধীরে ছিল। তবে আমরা এত তাড়াতাড়ি এতটা ধীর হয়ে যাবে বলে আশা করিনি।
ওএনএসের পরিসংখ্যানবিদ জোনাথন অ্যাথো বলেন, মে মাসে রেস্তোরাঁগুলো খুলে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গে হোটেলগুলোও লক্ষণীয় পুনরুদ্ধার দেখছে।
ওএনএস বলছে, আবাসন এবং খাদ্য পরিষেবা মে মাসে ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে সামগ্রিক পরিষেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।
তবে যুক্তরাজ্যের গাড়ির নির্মাতারা মাইক্রোচিপসের সংকটে রয়েছেন। তাই এই খাতে প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে মে মাসে খারাপ আবহাওয়ার কারণে নির্মাণ সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাসের কয়েক দিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সর্বশেষ পরিসংখ্যান বা মে মাসে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের প্রত্যাবর্তন অব্যাহত থাকলেও বৃদ্ধির হার খুব কম। যার ফলে পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।