শনিবার (১০ জুলাই) সকালে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূ-গবেষণা সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১।
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের বিবৃতিতে বলা হয়েছে- মানাডো শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ৬৮ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ভূমিকম্পের ফলে দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি বা জলোচ্ছাসের কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই।
শনিবারের ভূমিকম্পের ফলে ইন্দোনেশিয়ায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’ এলাকায় অবস্থান হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় মাঝারি বা বড় ধরণের ভূমিকম্প প্রায় নিয়মিত ঘটনা। ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের ঘন ঘন স্থানচ্যুতির কারণে এই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে ‘রিং অব ফায়ার’। জাপান থেকে শুরু হয়ে প্রশান্ত মহাসগারের উপকূলবর্তী দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এলাকাসমূহ এই ‘রিং অব ফায়ার’-এর মধ্যে পড়েছে।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সুলাওয়েসি দ্বীপের উপকূলবর্তী মামুজু শহরে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন শতাধিক মানুষ; গৃহহীন হয়েছিলেন হাজারেরও বেশি।
তার আগে ২০১৮ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছাস বা সুনামিতে সুলাওয়েসি ও পালু দ্বীপে নিখোঁজ হয়েছিলেন ৪ হাজার ৩০০-এরও বেশি মানুষ।
একই বছর ইন্দোনেশিয়ার লোম্বক দ্বীপে পরপর দুই সপ্তাহে দুই দফা ভূমিকম্পের ফলে লোম্বক এবং তার পার্শ্ববর্তী দুই দ্বীপ হলিডে ও সামবাওয়াতে ৫৫০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।