রোববার (১১ জুলাই) সকাল ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে শনিবার (১০ জুলাই) ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ২৮৭ জনের মৃত্যু এবং ৪ লাখ ৯০ হাজার ২ জন নতুন শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল ওয়ার্ল্ডোমিটার। সেই হিসেবে আজ মৃত্যু ও শনাক্ত কিছুটা কমেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ১২৫ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৬৩২ জনের। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৮ জন।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা তিন কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১১১ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ২২ হাজার ৮২১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩০ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৩১ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৭২ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭৮ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। যদিও মোট মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে তারা। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৯৪৯ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯০ লাখ ৬৯ হাজার ৩ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে ফ্রান্স, রাশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ইরান।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৬ হাজার ১৮৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন। তালিকায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে রোমানিয়া আর পরে পাকিস্তান।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর কয়েক দফায় পরিস্থিতির উন্নতি-অবনতি হয়। তবে গত কয়েক দিনের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে।