বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উইঘুর তুর্কিদের চীনের নাগরিকদের মতোই সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ জীবন তুরস্কের জন্য যে গুরুত্বের, তা তুলে ধরেন এরদোয়ান। তিনি চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার কথাও জানিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় আরো জানায়, ফোনালাপে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। এরদোয়ান চীনা প্রেসিডেন্টকে আরো বলেছেন, তুরস্ক ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনীতিক ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুই নেতা জ্বালানি, বাণিজ্য, পরিবহন ও স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন।
গত বছর চীনের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পর তুরস্কে বসবাসরত প্রায় ৪০ হাজার উইঘুর এরদোয়ান শাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। মার্চ মাসে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যেমন প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, এটিও তেমন একটি। চীনে উইঘুরদের ফেরত পাঠানোর বিষয় অস্বীকার করেন তিনি। মার্চে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ির আঙ্কারা সফরের সময় কয়েক হাজার উইঘুর বিক্ষোভ করেছেন।
তুরস্কের কয়েক জন রাজনীতিকও মনে করেন, তুর্কি সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে উইঘুর অধিকারের কথা বিবেচনা করছে না। যদিও এরদোয়ান প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এপ্রিলে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তুরস্ক। উইঘুরদের প্রতি চীনের আচরণ নিয়ে তুরস্কের এক জন বিরোধীদলীয় নেতার মন্তব্যের পর দূতাবাস বলেছিল এই সমালোচনার জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। চীনা দূতাবাসের এমন অবস্থানের পর রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।