জোহো করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ম্যানেজইঞ্জিনের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে তারা বিজনেস অ্যানালিটিকস বা প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন সেবার পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও ব্যবহার করেছে।
জরিপ প্রতিবেদন বলছে, করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম অনেকটাই ডেটা বা উপাত্ত ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তা, কর্মক্ষমতা, নির্ভরতা ইত্যাদি বিষয়ে অধিক হারে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককেন্দ্রিক ক্লাউড সলিউশন ব্যবহারে মনোযোগ দেয়। একইভাবে তারা দুই বছর ধরে তথ্য–উপাত্ত ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ব্যবহারে জোর দিয়ে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। এর ফলে সিদ্ধান্ত বেশি সঠিক হয় এবং মুনাফা অর্জনের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে, ৯১ শতাংশ কোম্পানি জানিয়েছে, তারা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে অধিকতর আস্থাশীল। আবার ৮৯ শতাংশই বলেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে সুফল বেশি পাওয়া যায়।
তবে ৮৯ শতাংশ কোম্পানি মনে করে, কর্মীদের রিমোট লোকেশন (হোম অফিস), তথা দূরবর্তী অবস্থানে রেখে কাজ করানোর নীতি বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি–সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। যেমন: সফটওয়্যারের ওপর যেহেতু কোম্পানির সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকে না, সেহেতু কর্মীদেরই নিজ নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ডিভাইস (যন্ত্র, অ্যাপস) কিনে কম্পিউটার-ল্যাপটপে ইনস্টল করে নিতে হয়।
জরিপে ভারতের ৯৭ শতাংশ কোম্পানিই জানিয়েছে, করোনাভাইরাস অতিমারির (কোভিড-১৯) কারণে তাদের ক্লাউড সলিউশন বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কভিত্তিক সেবার ওপর নির্ভর করে কাজ করতে হয়েছে।
জোহো করপোরেশনের তথ্যপ্রযুক্তি শাখা ম্যানেজইঞ্জিন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজেশ গণেশন বলেন, ‘এখনকার মতো পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে উপলব্ধি করেছে যে দ্রুত ও গতিশীলতার সঙ্গে উপাত্তনির্ভর সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি, যার ফলে ভোক্তাদের দ্রুত পণ্য সরবরাহ করা যায়।
করোনাকালে প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে জোহো করপোরেশন জানিয়েছে, গত এক বছরে সার্বিকভাবে তাদের তথ্যপ্রযুক্তি শাখা ম্যানেজইঞ্জিন বিভাগের ব্যবসা ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম এবং অ্যাপ্লিকেশনেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫০ শতাংশ। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।