এর আগে ২০১৯ সালেই অ্যাপল কার্ডের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে মার্কিন টেক জায়ান্টখ্যাত প্রতিষ্ঠানটি। ক্রেতাদের কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের সুযোগ করে দিতেও একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করবে অ্যাপল।
এবিষয়ে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, গোটা যুক্তরাষ্ট্রে অনলাইন বিক্রি খাতে ‘আগে কিনুন, পরে দাম দিন’ প্রক্রিয়ার সুবিধা নেন মাত্র দুই শতাংশ। ফলে, এ খাতের আওতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
বুধবার (১৪ জুলাই) অ্যাপলের এ পরিকল্পনার খবরে অস্ট্রেলিয়ায় তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘আফটারপে’র শেয়ারদর ১০ শতাংশ পতন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ‘আগে ক্রয়, পরে টাকা’ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। শেয়ারদর কমেছে দেশটির ছোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান জিপ কোম্পানি লিমিটেড সেজেলেরও। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ন্যসডাক তালিকাভুক্ত অ্যাফার্ম হোল্ডিংস ইনকরপোরেটেডের শেয়ারদর কমেছিল ১৪ শতাংশেরও বেশি, পরে মঙ্গলবার দিনশেষে তা ঠেকেছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশে।
গত বছর থেকে মহামারী পরিস্থিতিতে অনলাইন কেনাকাটা বেড়েছে। একই সঙ্গে ‘আগে ক্রয়, পরে টাকা’ কাঠামোর ব্যবসার সংখ্যাও বেড়ে উঠছে। পেপাল হোল্ডিংস ইনকরপোরেটেডের মতো মূলধারার প্রতিষ্ঠানেরও নজর কেড়েছে সুবিধাটি।
অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠান এ খাতে চলে এলে এবং অন্যরা পা রাখলে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বড় মাপের পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াবে গোটা বিষয়টি। অ্যাপল পে ব্যবহারকারীরা নিজেদের দাম পরিশোধকে চারটি সুদমুক্ত কিস্তিতে ভাগ করে নিতে পারবেন। চাইলে সুদসহ কয়েক মাসের কিস্তিও নেয়া যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপল এ ধরনের সেবা নিয়ে এলে তা আফটারপে, জিপের কোয়াডপে এবং অ্যাফার্মের মতো ছোট প্রতিষ্ঠানের সেবাগুলোর সঙ্গে বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে, প্রতিযোগিতা অনেকটাই বড় মাপে হবে। সূত্র:রয়টার্স ও দ্য ভার্জ।