রেজালা তৈরি করার জন্য গরু বা খাসির মাংস প্রয়োজন হয়। রেজালা তৈরির ক্ষেত্রে মাংসগুলো হাড় ছাড়া নিলে ভালো। আর মাংস গুলো যদি একটু বড় বড় পিস হয় সে ক্ষেত্রে রেজালা রান্নার পর দেখতেও সুন্দর লাগে।
প্রথমেই চুলায় একটি পাত্রে পৌনে এক কাপ সয়াবিন তেল হালকা গরম করে নিন। এর মধ্যে ছোট ৪-৫ টুকরা দারুচিনি ৭-৮টি সবুজ এলাচ ও লবঙ্গ এবং তিন-চারটা তেজপাতা দিয়ে ২০-৩০ সেকেন্ডের মত হালকা ভেজে নিন। বেরেস্তার মতো একেবারে ব্রাউন করার প্রয়োজন নেই।
পেঁয়াজগুলো যখন নরম হতে শুরু করবে তখন এখানে দেড় টেবিল চামচ রসুন বাটা, ২ টেবিল চামচ আদা বাটা, ২ টেবিল চামচ জিরা বাটা, হাফ চা চামচ করে জয় ফল, ১ টেবিল-চামচ হলুদের গুঁড়া, দেড় টেবিল চামচ ধনিয়ার গুড়া, ১ টেবিল চামচ লাল মরিচের গুঁড়া দিন। যদি ঝালের জন্য কাঁচামরিচ ব্যবহার করা হয় তাহলে নিজের স্বাদমতো দেওয়াই ভালো।
সামান্য একটু পানি দিয়ে এবার সবকিছু একসাথে খুব ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। মসলাগুলো যত ভালোমতো কষানো হবে রান্নার স্বাদ কিন্তু ততই বেড়ে যাবে। প্রয়োজনে মসলা কষানোর জন্য আরও কিছুটা পানি দিয়ে নিতে পারেন। এরপর এতে মাংসগুলো দিয়ে খুব ভালো করে মাখিয়ে নিয়ে। মিডিয়াম আঁচে ঢাকনা দিয়ে মাংসগুলো কষাতে হবে। তবে কষানোর প্রথম পর্যায় কোন পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ মাংস থেকে যথেষ্ট পানি বের হবে।
স্বাদমতো কিছুটা লবণ দিন। ঢাকনা খুলে মাঝে মধ্যে মাংসগুলোকে নেড়ে দিতে হবে। যাতে নিচ থেকে লেগে না যায়।
বিয়ে বাড়ির রেজালা তৈরির জন্য কোয়ার্টার কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তার সাথে ৭-৮টি কাজুবাদাম এবং ২ টেবিল চামচ পরিমাণ পানিসহ টক দই দিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটা কিন্তু রেসালাতে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। শাহী একটা গ্রেভি এবং ফ্লেভার তৈরি করার জন্য এটি রান্নার প্রায় শেষ পর্যায়ে ব্যবহার করতে হবে।
রেজালাতে যেহেতু খুব বেশি ঝোল হয় না সেহেতু এতে বেশি পানি ব্যবহার করাই ভালো। মাংসগুলো যখন একদম সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন এতে উপরের মিশ্রনটি যোগ করে নিন। ব্যস হয়ে গেল বিফ রেজালা রেসিপি।