হাইতির রাজধানী পোর্টো প্রিন্সে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হেনরি। সদ্য নিহত প্রেসিডেন্ট মইসির স্মরণে ওইদিনই আনুষ্ঠানিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। দায়িত্ব প্রাপ্ত ৭১ বছর বয়সী সাবেক মন্ত্রী হেনরি পেশায় একজন নিউরো সার্জন।
এর আগে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ জানান, জাতির ভালোর জন্য তিনি দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন।
দেশটিতে এখন চরম সহিংস অবস্থা বিরাজ করছে। হেনরি তার বক্তব্যে বলেছেন, রাজনৈতিক স্থিরতা ফিরিয়ে আনতে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবেন তিনি। সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও ব্যক্ত করেন হেনরি। তিনি বলেন, এখন একত্রিত হওয়া ও স্থির পরিবেশ আনাটাই মোক্ষম।
গত ৭ জুলাই সন্ত্রাসীরা প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির ব্যক্তিগত বাস ভবনে ঢুকে গুলি করে তাকে হত্যা করে। হামলায় তার স্ত্রী মার্টিন গুরুতর আহত হন। পরে আহত মার্টিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। গত শনিবার মার্টিন দেশে ফিরেছেন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে।
এদিকে, প্রেসিডেন্টকে হত্যার মিশনে ২৮ জন অংশ নেয় বলে জানায় পুলিশ। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার নাগরিক এবং দু'জন হাইতির বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে সন্দেহভাজন তিন সন্ত্রাসী।
২০১৭ সালে জোভেনেল হাইতির প্রেসিডেন্ট হন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এবং তা পিছিয়ে দেয়া হয়। পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জোভেনেলের মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং তিনি ডিক্রি জারি করে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশ শাসন করে আসছিলেন। প্রেসিডেন্ট মইসি নিহত হওয়ার পর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী জোসেফ ক্লদ। এখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন অ্যারিয়েল হেনরি।