সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) গত বুধবার জানায়, সৌদি আরবের একটি মহল সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের স্মার্টফোনে নজরদারি করেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছেন সৌদি সরকারের এক কর্মকর্তা। এমন অভিযোগের পেছনে কোনো সত্যতা নেই বলে সৌদি সরকারের ওই কর্মকর্তা জানান। তবে সৌদি সরকারের ওই কর্মকর্তার নাম, পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি এতে।
এর আগে ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, নিহত হওয়ার আগে ও পরে খাশোগির ঘনিষ্ঠজনদের ফোনে পেগাসাসের মাধ্যমে আড়ি পাতা হয়। পেগাসাস প্রজেক্ট নামের তদন্তের ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফরেনসিক বিশ্লেষণে আরও জানা যায়, খাশোগির স্ত্রী হানান এলাতার ও তার বাগদত্তা হেতিজে চেঙ্গিসের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। খাশোগি হত্যার তদন্ত সংশ্লিষ্ট শীর্ষ দুই তুর্কি কর্মকর্তার ফোনেও আড়ি পাতা হয়।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে। তার মরদেহের সন্ধান এখনো মেলেনি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচক ছিলেন খাশোগি। তার হত্যাকাণ্ডের পর সন্দেহের তীর সালমানের দিকেই যায়।
খাশোগির স্ত্রী হানান এলাতার, যাকে তিনি বিয়ে করেন ২০১৮ সালের জুনে, তার ফোনও ছিল পেগাসাসের নজরে। তার ফোনটি ছিল অ্যান্ড্রয়েড ফোন। হানান ছিলেন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট।
খাশোগির বাগদত্তা হেতিজে চেঙ্গিসের ফোনও ছিল পেগাসাসের নজরদারির আওতায়। হেতিজের মুঠোফোনটি ছিল আইফোন। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর দিনে পাঁচ বার তার ফোনে নজরদারি করা হতো। এ ছাড়া খাশোগির আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ফোন হ্যাক করা হয় তাকে হত্যার পর।
সম্প্রতি দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ডেটাবেইসে ৫০ হাজারের বেশি ফোন নম্বর পাওয়া গেছে। ২০১৬ সাল থেকে ইসরায়েল কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোকে এ সেবা দিয়ে আসছে। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করছে ইসরায়েল।