স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেন সাকি বলেন, ‘চীনের অবস্থান দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং পরিষ্কারভাবে ভয়ংকর। সহায়তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার মতো সময় এটা নয়।’ সম্প্রতি চীনে দ্বিতীয় দফায় বিশেষজ্ঞদের পাঠানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। তাঁর প্রস্তাবে করোনাভাইরাস প্রথম যে এলাকায় দেখা যায়, সে এলাকার ল্যাবরেটরি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের কথা বলা হয়। তবে এ আহ্বান নাকচ করে চীন।
বৃহস্পতিবার চীনের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী জেং ইশিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই প্রস্তাব ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন এবং বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রাসী মনোভাবের’। প্রস্তাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, চীন এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে না।
চীনা উপমন্ত্রী বলেন, তিনি ডব্লিউএইচওর প্রস্তাব শুনে বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ, সেখানে চীনের ল্যাবরেটরিতে গবেষণার সময় নিরাপত্তাজনিত গাফিলতিতে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে, এমন অনুমানের কথা উল্লেখ করা ছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। চীনের পরীক্ষাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে গত বছরই সন্দেহের কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাস কীভাবে মানুষের শরীরে এল, তা খুঁজতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনে যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল। তাদের উহানের গবেষণাগারগুলো ঘুরে দেখতে দেওয়া হয়নি।
সে সময় উহানে চার সপ্তাহ অবস্থান করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তকারীরা। পরে মার্চে প্রকাশিত তাঁদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইরাসটি সম্ভবত বাদুড় থেকে অন্য পশুপাখির মাধ্যমে মানুষের শরীরে এসেছে। উহানের ল্যাবরেটরি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর যে সন্দেহ করা হয়, তাকে প্রায় ‘অসম্ভব’ বলেছিলেন তাঁরা। তাঁদের ওই মন্তব্য মানতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা। সূত্র: এএফপি।