গবেষকরা বলেছেন, এই হারে যদি অ্যান্টবডির স্তর কমে যেতে থাকে, তাহলে ভ্যাকসিনগুলোর সুরক্ষামূলক প্রচেষ্টায় ধাক্কা আসতে পারে; বিশেষ করে করোনার নতুন ধরনগুলোর বিরুদ্ধেও। তবে এটি কত দ্রুত ঘটতে পারে সেবিষয়ে এখনই ভবিষ্যদ্বাণী করা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।
ইউসিএল ভাইরাস ওয়াচ শীর্ষক এই গবেষণায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজের পর পাওয়া অ্যান্টিবডির তুলনায় ফাইজারের ভ্যাকসিনের দুই ডোজে অ্যান্টিবডি অনেক বেশি তৈরি হয়।
ইউসিএলের গবেষকরা বলেছেন, টিকা নেওয়ার আগে যারা সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের তুলনায় আক্রান্ত না হয়ে টিকা নেওয়া লোকজনের শরীরে অ্যান্টবডির স্তর অনেক বেশি পাওয়া গেছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইনফরমেটিকসের গবেষক মধুমিতা শ্রুত্রি বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা ফাইজারের উভয় ডোজ সম্পন্নকারীদের শরীরে প্রথম দিকে অ্যান্টিবডির মাত্রা অনেক বেশি ছিল; যা তীব্র করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষিত থাকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে।
তবে আমরা দেখেছি, দুই থেকে তিন মাসের সময়ের ব্যবধানে এই অ্যান্টিবডির স্তর যথেষ্ট পরিমাণে কমে যায়—এক বিবৃতিতে বলেছেন শ্রুত্রি।
গবেষকরা বলেছেন, তারা ১৮ থেকে তদুর্ধ্ব সব বয়সী, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং লিঙ্গভেদে ৬০০ জনের বেশি মানুষকে এই গবেষণায় অন্তর্ভূক্ত করেছিলেন। অ্যান্টিবডির স্তর কমে যাওয়ার ক্লিনিক্যাল জটিলতার বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন তারা। ইউসিএলের এই গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিবডি কমে যাওয়ার কিছু ঘটনা প্রত্যাশিতই। তবে করোনায় গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলো এখনও কার্যকর।
তারা বলেছেন, ফাইজারের টিকার ক্ষেত্রে দুই ডোজ সম্পন্ন করার ২১ থেকে ৪১ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডির মাত্রা প্রতি মিলিলিটারে মাঝারি থেকে ৭ হাজার ৫০৬ ইউনিট হ্রাস পায় আর ৭০ বা তারও বেশি দিনের মধ্যে সেই হার কমে যায় ৩ হাজার ৩২০ ইউনিট।
এছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্ষেত্রে দুই ডোজ সম্পন্ন করার শূন্য থেকে ২০ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডির স্তর প্রতি মিলিলিটারে মাঝারি থেকে এক হাজার ২০১ ইউনিট এবং ৭০ বা তারও বেশি দিনের মধ্যে প্রতি মিলিলিটারে ১৯০ ইউনিট পর্যন্ত হ্রাস পায়; যা ফাইজারের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ বেশি হ্রাস।