শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বুধবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্কুলে ঠিকমতো না পড়িয়ে স্কুলের বাইরে শিক্ষার্থীদের পড়ানো এবং এর বিনিময়ে অর্থগ্রহণ ঘুষ নেওয়া বা এ জাতীয় দুর্নীতির সমতুল্য অপরাধ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলসমূহের যেসব শিক্ষক এ ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের উদ্দেশে বলা হচ্ছে – সরকার এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।’
গত শুক্রবার (২৪ জুলাই) এক আদেশে চীনে স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারসমূহ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আদেশে বলা হয়েছে, চীনের স্কুল শিক্ষা কার্যক্রমে যে বিষয়সমূহকে ‘মূল’ বা ‘আবশ্যিক’ হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে পড়াশোনা স্কুলের বাইরে অন্য কোনো বাণিজ্যিক সংস্থায় আর করতে পারবে না শিক্ষার্থীরা।
বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টার খাতে যাবতীয় বিদেশি বিনিয়োগও নিষিদ্ধ করা হয় সেই আদেশে।
গত প্রায় দুই দশক ধরে চীনে গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক শিক্ষা কার্যক্রম খাত। বর্তমানে এই খাত দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক খাতসমূহের একটি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবারের এই ঘোষণার পর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই খাতটি। এমনকি চীনের শেয়ার বাজারে বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারসমূহের শেয়ারের দামও পড়ে গেছে।
চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সিনহুয়া নিউজকে মঙ্গলবার এ সম্পর্কে বলেন, বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টার ও অর্থলোভী শিক্ষকদের কারণে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত অভিভাবকরা ব্যাপক আর্থিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং প্রতিবছর তা বাড়ছে। অভিভাবকদের ভোগান্তি কমানোর জন্যই সাম্প্রতিক এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তবে কোনো সংস্থা বা শিক্ষক যদি স্কুলের বাইরে দুর্বল শিক্ষার্থীদের পড়ান এবং তার বিনিময়ে অর্থ না নেন, সেটি কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
সূত্র : রয়টার্স