বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে রিটেইল ব্যবসার সবচেয়ে বড় কোম্পানি ফিউচার গ্রুপ দেড় হাজারের বেশি সুপারমার্কেট এবং অন্যান্য দোকান পরিচালনা করে। এই রিটেইল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ পেতে বিশ্বের অন্যতম দুই ধনী জেফ বেজোস ও মুকেশ আম্বানির মধ্যে কয়েক বছর ধরেই আইনি লড়াই চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালতের রায় ভারতে রিলায়েন্সের খুচরা বিক্রির আধিপত্য আনার ক্ষেত্রে একটি স্পিডব্রেকার দিয়ে দিল।
আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে ২০২০ সালের আগস্টে রিলায়েন্সের কাছে খুচরা ব্যবসা এবং যাবতীয় পরিকাঠামো বিক্রি করে দিতে ৩৪০ কোটি ডলারের বিনিময় চুক্তি করে ফিউচার গ্রুপ। তবে এ চুক্তিতে বেঁকে বসে ফিউচার গ্রুপের ৪৯ শতাংশ অংশীদার আমাজন। এই চুক্তিতে সম্মতি নেই বলে জানায় তারা। আমাজনের বক্তব্য ছিল, ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে রিলায়েন্সের এই চুক্তি তাদের সঙ্গে করা চুক্তির পরিপন্থী। এই চুক্তিতে ব্যবসায়িত বিধিনিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে।
আমাজনের এই দাবির পরিপ্রক্ষিতে কিশোর বিয়ানির ফিউচার গ্রুপ জানায়, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট চুক্তির কথা ঘোষণা করে তারা। অথচ আইনি পদক্ষেপ নিতে এক মাস অপেক্ষা করেছে আমাজন। তবে আমাজনের এক মুখপাত্র ফিউচার গ্রুপের এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন। ফিউচার গ্রুপের দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে পাল্টাবিবৃতি জারি করা হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। তারা জানায়, মহামারির সময়ে ফিউচার গ্রুপকে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। অথচ রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে একবারও তাদের জানানোর প্রয়োজন বোধ করেনি ফিউচার গ্রুপ।