স্থানীয়ভাবে নাজাহা নামে পরিচিত দেশটির জাতীয় দুর্নীতি দমন কমিশন সোমবার গভীর রাতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছে। তবে গ্রেফতারকৃতদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া কখন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সেটিও পরিষ্কার নয়।
২০১৭ সালের শেষের দিকে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশজুড়ে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন। এই অভিযান তার ক্ষমতার পথ দৃঢ় করতে সাহায্য করে এবং সরকার ১০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ জব্দ করে।
সৌদি নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারে ব্যাপক দুর্নীতি এবং ক্ষমতাসীনরা সরকারি তহবিল অপচয় অথবা অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করে আসছেন। নাজাহা বলেছে, সম্প্রতি দুর্নীতিবিরোধী ধরপাকড় অভিযানের সময় ৪৬০ জনের বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তের পর দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে ২০৭ জন সৌদি নাগরিক এবং বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সৌদির দুর্নীতিবিরোধী এই কমিশন বলেছে, অভিযুক্তদের বিচারের জন্য আদালতের কাছে পাঠানো হবে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, আইন ও বিচারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন।
গত এপ্রিলে নাজাহা জানায়, দেশের বিভিন্ন সরকারি খাতে কর্মরত অন্তত ১৭৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০১৭ সালের শেষের দিকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রাজপরিবারের তিন শতাধিক যুবরাজ, জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে এক অভিযান শুরু করে; যারা ক্ষমতাসীন আল-সৌদ রাজপরিবার পরিবার এবং এর বিস্তৃত পৃষ্ঠপোষক নেটওয়ার্ক ঘিরে অভিজাত কাঠামো গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
ওই বছরে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের পর রিয়াদের অভিজাত রিৎজ-কার্লটন হোটেলে সপ্তাহের পর সপ্তাহ এমনকি কয়েকমাস ধরে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে অনেককে কারাগারে এবং অন্যান্য আটক কেন্দ্রে পাঠানো হয়; যেখানে এই বন্দিদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করে।
সূত্র: এপি।