বুধবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে প্রদেশটির কিন্নৌর জেলায় ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে তখন ছিল একটি সরকারি বাস, একটি ট্রাক এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি। বাসটি সিমলা যাচ্ছিল। বাসের যাত্রী ছিলেন ৪০ জন। ভূমিধসে চাপা পড়েছে গাড়িগুলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক কর্মকর্তা জানান, ২৫ থেকে ৩০ জন এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চলছে।
শিমলা থেকে ১৬৩ কিলোমিটার দূরে কিন্নৌর জেলার ছাউরায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসটি হিমাচল প্রদেশ রাজ্য পরিবহন দফতরের ছিল। হরিদ্বারের দিকে যাচ্ছিল ওই যাত্রীবোঝাই বাসটি। ধসের সময় চালক কোনোভাবে ঝাঁপ দিয়ে বেরিয়ে আসায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। ধসের ফলে সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়কটি।
আটকেপড়া মানুষদের উদ্ধারকাজে নেমেছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত বাহিনী (আইটিবিপি)। বাহিনীটির টুইটার অ্যাকাউন্টে জানানো হয়েছে এই উদ্ধার তৎপরতার কথা। ঘটনার কিছুক্ষণ পর আইটিবিপির মুখপাত্র বিবেক পান্ডে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে তিনটি ব্যাটেলিয়নের ২০০ জন সদস্যকে পাঠানো হয়েছে। পাহাড় থেকে এখনও পাথর পড়ছে। পাথর বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার অপেক্ষা করছেন জওয়ানরা। এলাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাহায্যের জন্য কাতর আর্তনাদ করতে দেখা গিয়েছে ধসের নীচে চাপা পড়া একাধিক মানুষকে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে খারাপ আবহাওয়া উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানান, দ্রুত গতিতে উদ্ধারকার্য চলছে। পুরোদমে কাজ করছেন সেনা ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে হিমাচলে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। এর আগে ২৫ জুলাই এই কিন্নৌর জেলাতেই পাথর ধসে ৯ জন পর্যটক নিহত এবং দুইজন আহত হন। ৩১ জুলাই প্রদেশটির উত্তরাঞ্চলের সিরমর এলাকায়ও ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে। এতে অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয় এবং প্লাবিত হয় আশপাশের কয়েকটি এলাকা। গাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন। এছাড়া ব্রিজ, কালভার্টসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে পড়ে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোটা অঞ্চল। ওই দুর্ঘটনার ১০ দিনের মাথায় প্রদেশটিতে আবার ঘটল ভূমিধসের ঘটনা।