কান্দাহার এবং গাজনির বিভিন্ন শহরে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বুধবার উত্তরাঞ্চলীয় মাজার-ই শরিফ শহর সফর করেছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। আফগান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়ালি মোহাম্মদ আহমাদজাইকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিবিসি। তিনি গত জুনেই এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু অল্প কিছুদিনের ব্যবধানেই তাকে সরিয়ে দেয়া হলো। নতুন সেনাপ্রধানকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ দেশে সহিংসতা বেড়ে গেছে।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার শুরুর পর থেকেই তালেবান সেখানে বেশ দ্রুতগতিতে বিভিন্ন এলাকা দখল করতে শুরু করে। তালেবান এরই মধ্যে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ন গ্রামীন এলাকা দখল করে নিয়েছে। এখন তারা বড় বড় শহর টার্গেট করছে।
এর মধ্যেই ফাইজাবাদ, ফারাহ, পাল-ই-খুমরি, সার-ই-পাল, সেবেরঘান, আইবাক, কুন্দুজ, তালুকান এবং জারাঞ্জ শহর দখল করে নিয়েছে তালেবান। গত মে মাস থেকেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে তালেবান। এদিকে তালেবান দেশটির এক চতুর্থাংশের বেশি প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নেয়ার পরই পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী খালিদ পায়েন্দা।
গুরুত্বপূর্ণ কাস্টমস পোস্টগুলো তালেবানের দখলে চলে যাওয়ায় এই ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাফি তাবি জানিয়েছেন, কাস্টমস পোস্টগুলো তালেবানের দখলে চলে যাওয়ায় দেশের রাজস্ব কমতে শুর করেছে। এ কারণেই পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন পায়েন্দা।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত এক মাসে আফগানিস্তানে যুদ্ধ-সংঘাতে এক হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির শীর্ষ উপদেষ্টা ওয়াহিদ ওমের বলেন, আমাদের জন্য এই সময়টা বেশ কঠিন। তবে আমরা জানি যে, আমরা অবশ্যই জয়ী হব। তিনি বলেন, তারা (তালেবান) হয়তো কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে। তবে এটা শুধু দখল করে নেয়ার বিষয় না। বরং এখানে সাধারণ নাগরিকরা গুরুত্বপূর্ণ। তারা তালেবানকে চায় না। আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করাটা যে ভুল ছিল সেটা তারা খুব শিগগিরই বুঝতে পারবে।