নাটকে দেখা যাবে- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে মোহাম্মদপুরের কাঠের আড়তদার মোবারক রেডিওতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু সংবাদ শুনতে পান। এতে তিনি, তার স্ত্রী ফাতেমা ও দশ বছরের ছেলে ইফরান খুবই মর্মাহত হন। ফাতেমা সারাদিন কোনোকিছু মুখে তুলতে পারেনি। ইফরান বুঝতে পারেনা যে, মানুষ কীভাবে অন্য মানুষকে হত্যা করতে পারে! বিশেষত যেখানে তার সমান বয়সী একজন শিশুকেও খুন হতে হয়।
বনানী কবরস্থানের পাহারাদার আনসার স্পষ্ট করে জানতো না যে, বঙ্গবন্ধুকে খুন করা হয়েছে। যখন একজন আর্মি অফিসার এসে তাকে আঠারটি কবর খুড়তে বলে তখন সে বুঝতে পারে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কাউকেই আর বাঁচিয়ে রাখা হয়নি। সে তার সহকারীর কাছে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের শেষ করে দেয়ার মনোভাব ব্যক্ত করে।
ঐদিন রাতে কাঠের ব্যবসায়ী মোবারকের কাছে একজন আর্মি অফিসার এসে দশটি কাঠের বাক্সো বা কফিন বানানোর অর্ডার দিয়ে যায় এবং সকালের মধ্যে সেগুলো না পেলে তাকে নির্বংশ করা হবে বলে শাসিয়ে যায়। পরদিন সকালে যখন সেই আর্মি অফিসার কফিনের জন্য আসে তখন দশ বছরের ইফরান তার কাছে জানতে চায়, তারা কেন ছোট্ট রাসেলকে মেরে ফেলেছে। ইফরানের সাহস দেখে আর্মি অফিসার অভিভ‚ত হন। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব তার জানা নেই। তিনি হুকুমের গোলাম মাত্র।